‘আমার চাকরি জীবন আজ সার্থক! কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্বোধনী ট্রেনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে নিরাপদে রামু স্টেশনে এসে পৌঁছালাম। এই স্মৃতি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে!’
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার থেকে রামু পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী স্পেশাল ট্রেন সফলভাবে চালানোর পর নিজের অনুভূতি এভাবেই ফেসবুকে তুলে ধরেন লোকো মাস্টার সাজু কুমার দাস।
এখানেই থামেননি উচ্ছ্বসিত সাজু। অনুভূতি জানতে চাইতেই সাজুর মুখ দিয়ে যেন কথার খই ফুটল। বললেন, ‘বাংলার মানুষকে স্বপ্ন দেখানো সেই স্বপ্নদ্রষ্টা আজকে আমাদের এই ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার থেকে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। আর সেই ট্রেনের চালক হিসেবে আমি ছিলাম, এটা ভাবতেই অন্যরকম লাগছে আমার। এটা আমি কখনো আশা করিনি যে, আমার ছোট্ট চাকরি জীবনে এরকম একটা সুযোগ পাব। এটা শিহরণ জাগানো একটা অনুভূতি ছিল।’
ট্রেন চালানোর সময় একদিকে উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে ভয় জেঁকে বসেছিল সাজুর মনে। সেটি সাজু তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আমি যখন ট্রেনটা চালাচ্ছিলাম তখন আমার কাছে যতটা না উচ্ছ্বাস আনন্দ কাজ করছিল, তার চেয়ে বেশি কাজ করছিল ভয়। কেননা এটি খুবই নমনীয়ভাবে চালাতে হয়, খুবই সাবধানে থামাতে হয়, আমি কাজটা ঠিকঠাক করতে পারব কিনা সেই ভয়টা ছিল৷’
রামু পৌঁছার পর সাজুকে সবাই অভিনন্দন জানান। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাজু বলেন, ‘যখন কক্সবাজার থেকে সফলভাবে রামুে গিয়ে পৌঁছালাম তখন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে এসে অভিনন্দন জানালেন। গত ৫ দিন ধরে আমাদের টিম এই ট্রেনসহ বেশ কয়েকবার ট্রায়াল করেছে। সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
১৯ বছর ধরে রেলের সঙ্গে যুক্ত আছেন চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান সাজু। তবে সহকারী লোকো মাস্টার হন ২০০৫ সালে। দীর্ঘ চাকরি জীবনে নিশ্চয় এই ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতা সারাজীবন গর্ব করে বলতে পারবেন সাজু।
পাঠকের মতামত